পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১২

ঈদ মোবারক


মনে পড়ে সেই দিন হতে আজি একটি বছর পরে,
একটুখানি শান্তির আভা দেখছি প্রতিটি মুসলিম ঘরে ঘরে।

সারাটা বছরের দুঃখ বেদনা ত্যাগ আর ব্যর্থতা,
মুছে দিয়ে সব ধরনিতে আজ এ-কি সুখ বারতা!

রমজানের ঐ সংযম শেষে ঈদ আসিয়াছে ঐক্যের স্রোতে,
হারিয়ে যাওয়ার আনন্দে তাই হৃদয় আমার উঠিছে মেতে।

এমনি সুখের দিনেতে আজ ভুলে দিতে সব দুঃখ শোক,
তোমার প্রতি রইলো আমার প্রীতি মাখা ‘ঈদ মোবারক’।


07/01/1992 (রাত ৮টা)
ঈশ্বরদী।

সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১২

উম্মাদ

আমি সেই দিন হতে উম্মাদ-
না, সেতো দিন নয়, সে যে রাত
গভীর কালো রাত
বাঙ্গালীর ভাগ্যাকাশে এক দুর্জয় প্রলয়ের রাত
চৌদিকে হাহাকার, কামান, রাইফেল, আগুন
আর ঐ জানোয়ারের গর্জনে
ভষ্মিভূত মানুষ স্তুপ করে রেখেছে
ওরা ময়দানে ময়দানে
বাঙালীকে এই বাংলা থেকে ভাসিয়ে দিতে
চেয়েছিল ওদের রক্তের স্রোতে,
হিংস্র নখরে মাসব বধিতে দানব
এসেছিল সেই রাতে।
প্রতিটি বাঙালীর মৃত্যুর টেলিগ্রাম বেজে উঠা সেই রাত-
ওদের চাওয়া ধন-সম্পদ, বাঙালী নিধন
আর সুন্দরী আওরাত।
আমি সেই দিন হতে উম্মাদ-
যবে আমার হাত, পা, স্কন্ধ, মাথা
সমস্ত অবয়ব
বাঁধিয়া এক বৃক্ষের সনে
বোনের ইজ্জত করিছে লুটপাট
ঐ জানোয়ারেরা
মোর দৃষ্টির সামনে।
লজ্জায়, ঘৃনায়,ক্রোধে, অপমানে আমার মুর্ছিত দেহ
যেতে চেয়েছিল ঐ মৃত্যুর প্রসাদে
কিন্তু দেয়নি ওরা যেতে,
তার আগেই ঐ জানোয়ারের হাতের
রাইফেলটার পৌশাচিক আঘাত পড়লো মাথায়
পৃথিবী ঘুরপাক খেয়ে উঠলো নিমেষে
ঠিকানা হারিয়ে গেল রক্তস্রোতে।
নইলে, সে দিন হয়তো এ বিষাক্ত
পৃথিবী ছেড়ে যেতে পারতেম
ঐ শান্তিময় মরন-প্রাসাদে।


13/12/1991
ফুলবয়রা।

বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১২

ব্যার্থ ঈদ

ঈদের খুশিতে           সারাটা ধরনী
         
উঠিয়াছে যেন মেতে,
প্রতি ঘরে আজ ধুম পড়ে গেছে
         
পোলাও কোরমা খেতে

ঘুম থেকে উঠি         সকালেই দেখি
         
সবার মুখেই হাসি
সবাই চলিছে            ঈদগাহে আজ
         
আমি কেন আছি বসি?

তড়ি ঘড়ি করি          ঈদগাহে চলি
         
দুঠোঁটে জড়ায়ে হাসি,
হঠাৎ দেখিলাম         ঈদগাহ কোণে
          কে যেন একেলা রহিছে বসি

বুক ভরা ব্যথা           মুখে নেই কথা
দুচোখেঅশ্রুঝরে,
দুঃখের প্রদীপ           জ্বালিয়ে সে যে
একেলা রহিছে ঘরে

ঈদের খুশি               সবার ঘরে
পৌঁছে দিয়েছ তুমি,
এরে কেন শুধু           দিয়েছ ফাঁকি
হে অন্তর্যামি?

কারো মুখে হাসি       কারো চোখে জল
এই কি সুখের ঈদ?
আজ বুঝিলাম           এ যে সুখের নয়
এ যে ব্যর্থ ঈদ

তারিখঃ 19/03/1991 ইং
ফুলবয়রা

রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১২

ঈদ এলো



ঈদ এলো ভাই নতুন করে
নতুন আবেগ ভরে,
মুছে দিয়ে সব দুঃখ তাপ
হাসি গানে প্রাণ ভরে
ঈদের চাঁদ গগণের কোনে
ঈমানদার যত মুমিনের সনে
ঈদের খুশিতে করিছে খেলা
এইতো শুভক্ষণে
আল্লাহর দেয়া কোরআন খানি
আমরা যদি সবাই মানি
এসো ভাই তবে ঈদগাহে যাই
পিছে ফেলে সব গ্লানি
ধনী গরীব সেতো অর্থের প্রভাব
নাহি তার মাঝে ঘৃনা গর্বের ধন,
তাইতো এদিনে ফিরিছে সবাই
করিয়া আলিঙ্গন

তারিখঃ 19/03/1991 ইং
ফুলবয়রা

সুখ-দুঃখ


সুখ দুঃখ আসলে কি?
এটা একটা মানষিক অনুভুতি
আচ্ছা দুঃখের সংঙ্গা কি?
প্রতিটি প্রাণের তীব্র অস্বস্থি। 
তাহলে সুখ ---?
যাতে দুঃখ নাই সেটাই সুখ
সুখ-দুঃখ জীবনে কি আসবেই?
হ্যাঁ, এছাড়া যে জীবন নেই
তবে দুঃখে মানুষ কাঁদে কেন?
সে কথা যায় না বুঝানো
দুঃখ মানুষ কেন পায়?
জীবনে যে সুখকে বেশী করে পেতে চায়
তাহলে সুখের ঠিকানা কোথায়?
হায়! আমারও যে জানা নাই!
তবে কি তুমি দুঃখি?
না, বড় সুখি!
সুখি? হলে কি করে?
মরিস না তুই সুখ-সুখ করি
দুঃখকে তুই নে না বরি
দেখবি কোথায় সুখের বাসা
আপনি কেঁদে আপনি হাসা
বুঝলে কিছু?
না তো ---?
সুখ পাবে ভাই যদি তুমি
দুঃখ নিয়েই থাকো

তারিখঃ ১১/০৩/১৯৯১ইং

ফুলবয়রা

বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১২

একুশ তুমি

২১ তুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি,
২১ তুমি শহীদ ভাইয়ের স্মৃতি-স্মারক রবি।
২১ তুমি বীর বাহুর কষে ধরা সেই অসি,
২১ তুমি স্বাধীনতা সুর্যের প্রথম আলোক রশ্মি।
২১ তুমি বিপ্লবী তরুণের একটি রক্ত ফোঁটা,
২১ তুমি রাইফেলের বুকে গর্জে উঠা টোটা।
২১ তুমি মিনারের বুকে রক্ত রাঙ্গা শশী,
২১ তুমি শ্রমিক-মজুরের ঝলশিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী।
২১ তুমি ফসলের মাঠে কৃষকের গাওয়া গান,
শত শহীদের রক্তে করিয়েছ বাংলা মায়ের স্নান।
২১ তুমি ছেলে হারা কত মায়ের আর্তনাদ,
২১ তুমি কত যে বোনের করেছ সর্বনাশ।
২১ তুমি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের বাবরি দোলানো ঝাকরা চুল,
তোমায় দেখে ভেঙ্গে যাক যত নর পিশাচের ভুল।
২১ তুমি বছর ঘুরে আসবে আবার ফিরে
বিপ্লবী তব আগমনী বার্তা জনিয়ে দিও মোরে।


তারিখঃ ২০/০২/১৯৯১ ইং
ফুলবয়রা